রাখালের বাঁশি
আর বাজে না,
তবে ছাত্রের
গিটার বাজে
দৈনিক কলম পত্রিকায় অভিমত বিভাগে ০৭ মে ২০১৬ এ প্রকাশিত |
কলম-এ ৩০ এপ্রিল মুন্সি দরূদ মুহাম্মদ ওয়েছের অভিমতটি নস্টালজিক। 'রাখালের বাঁশি আর বাজে না'। না বাজলে কি হবে? ছাত্রের গিটার এখন বাজছে। উন্নতি হয়েছে! রাখালরা একসময় অক্লান্ত পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করত, গরু-ছাগল-মোষ চরাত, গরু-লাঙল দিয়ে চাষের জমি কর্ষণ করত, গরুর গাড়ি চালাত। এরই ফাঁকে বিনোদন সারত বা বিরক্তি এড়াতে গুনগুন সুরে গান গাইত ও বাঁশি বাজাত।
কিন্তু এখন
বিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে চাষের জমি কর্ষণ করছে ট্রাক্টর। ফসল কাটা, মাড়া, পেষা ও বহন
করার জন্য পরিষেবায় রয়েছে বিভিন্ন রকম মেশিন। সুতরাং মানুষের খাটুনি
কমেছে, সুবিধা
বেড়েছে। তাই রাখাল বালকের প্রয়োজনীয়তা লোপ পেয়েছে। তাদের আর কড়া রোদে পুড়ে অঝোর
বৃষ্টিতে ভিজে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয় না। এরা আজ বেশি উপার্জনের জন্য অন্য রাজ্যে বা
বিদেশে কাজ করতে চলে যাচ্ছে। অনেকেই
স্কুলমুখী হচ্ছে। ফলে গ্রামগঞ্জে কিছুটা হলেও শ্রমিকের অভাব দেখা দিচ্ছে
এবং মজুরি বেড়েছে। কিন্তু বিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে সুবিধা হয়েছে অনেক।
এটা কি উন্নয়ন নয়? আধুনিক
চাষ-আবাদ ছাড়া বিশ্বমানবের মুখে আহার উঠবে না।
পত্রের শেষে দরূদ সাহেবের অভিমত, 'চাষাবাদেও একপ্রকার
অনীহা দেখা দিয়েছে জমির মালিকদের।'
তাই ভাবতে হয়, উন্নয়ন আসলে কী? প্রকৃত উন্নয়ন
কীভাবে হয়?
হামিম হোসেন মণ্ডল (বুলবুল)
ঝাউবনা, নওদা,
মুর্শিদাবাদ
No comments:
Post a Comment