Followers

Saturday 17 August 2013

ভবিষ্যতের যুদ্ধ যন্ত্র মানব, ২০৩০

৩০ডিসেম্বর২০৩০, হামিম হোসেন মণ্ডল : ইদানিং দেশে জঙ্গিদের গুলিতে ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যুর সংখ্যা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। সীমান্তবর্তি এলাকা সহ দেশের অভ্যন্তরেও ঘটছে ঘন ঘন জঙ্গি হামলার ঘটনা। সীমারেখায় প্রায়শই দেখা যায় তরতাজা বিএসএফ এর রক্তাক্ত দেহ কাটাতারের উপর ঝুলতে। রাজ্য ও দেশের স্বসহস্র বাহিনীর পক্ষে কেবল হাতে ধরা আগ্নেয় অস্ত্র নিয়ে (দিয়ে) স্বশরীরে উপস্থিত থেকে জঙ্গি মোকাবেলা করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে। তা যেন স্বইচ্ছায় মৃত্যুর সম্মুখে দাঁড়ানোর শামিল! ফলে দেশে বাড়ছে স্বামী হারা বিধবা, পিতা হারা অনাথা এবং পুত্র হারা হতভাগা পিতা-মাতার সংখ্যা। শহিদ হওয়া জওয়ানের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দিতে গিয়ে টান পড়ছে অর্থমন্ত্রকেও। মৃত্যুর আশঙ্কায় প্রতিরক্ষা বিভাগে কোন যুবক-যুবতি আর আসতে চায় না। তাই সম্প্রতি এই সমস্ত দিক মাথায় রেখে জওয়ান মৃত্যু ঠেকাতে স্বরাষ্ট্রদফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জওয়ানদের বন্ধুক-রাইফেলের বদলে একটি করে রিমোট কন্ট্রোল যন্ত্র ও তার সঙ্গে একটি ল্যাপটপ ও একটি যুদ্ধ রোবট অর্থাত্‍ যুদ্ধ যন্ত্র মানব দেওয়া হবে। আর ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত্যুর ঝুকি নিয়ে প্রত্যক্ষ ভাবে মোকাবিলা করতে হবে না দুর্ধর্ষ জঙ্গিদের। এবার অফিসে বসেই চলবে সীমারেখা নিয়ন্ত্রণ সহ যাবতিয় সামরিক কাজকর্ম। রোবটকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে ঘরে বসেই অত্যাধুনিক ল্যাপটপে ইন্টারনেটের সাহায্যে রিমোট কন্ট্রোল মার্ফত নিয়ন্ত্রণ করা হবে যুদ্ধ রোবটকে। আর এই রোবটের দু'চোখে লাগানো দু'টো সিসি ক্যামেরার (দূরবিন সহ) সাহায্যে ল্যাপটপে দেখে জওয়ানরা রিমোটের মাধ্যমে যন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করে মানব যন্ত্রের হাতে থাকা ইলেক্ট্রনিক ম্যাশিন বুলেটের ঘাঁয়ে নিমেশে ঝাঁঝাঁরা করে দেওয়া হবে আতঙবাদিদের দেহ। কিন্তু অপরপক্ষে আতঙবাদিদের বুলেটে কিছুই করতে পারবে না এই অত্যাধুনিক যুদ্ধবাজ যন্ত্র মানবদের। এই ব্যাবস্থা চালু হবে আগামী ২৬শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন থেকেই। রাজ্যগুলির অভ্যন্তরিণ নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও এই ব্যাবস্থা কাজে লাগানো হবে বলে বিশেষ সূত্রে খবর। তবে তা কার্যকারি করতে আরও অন্তত একবছর অধিক সময় লাগবে বলে জানা গেছে।

No comments:

Post a Comment