Followers

Wednesday, 1 May 2013

'অভিমত' / প্রসঙ্গ: ডিএড ও বিএড প্রশিক্ষণ

গত ২১ এপ্রিল 'কলম' এর অভিমত এ সামিউলের লেখা 'ডিএড ও বিএড নিয়ে ধোঁয়াশা কাটুক' পত্রের পরিকল্পনার পরিপ্রেক্ষিতে আমার এই আলোকপাতকৃত মেইল(পত্র)। হ্যাঁ, যাঁরা এক বছরের পিটিটি কোর্স করেছেন তাঁদের আরও এক বছরের অতিবিক্ত ব্রীজ কোর্স করতে হবে — তবেই তাঁদের ডিএড প্রশিক্ষণ বৈধ ও কার্যকারী বলে গন্য হবে। এটা কারো অজানা নয়। পত্রলেখক দাবি রেখেছেন যাঁরা বিএ, এমএ পাশ, সঙ্গে ডিএড প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কিন্তু বিএড করা নেই সেই সমস্ত ব্যক্তি বা শিক্ষক-শিক্ষিকার জন্য ছয় মাসের কোনও কোর্স চালু করা হোক যাতে তাঁরা বিএড এর সমমানে উন্নীত হতে পারেন। প্রথমে মনে রাখা জরুরি — ডিএড প্রশিক্ষণ মূলত প্রথম থেকে চতুর্থ (কোথাও কোথাও পঞ্চম) শ্রেণী পর্যন্ত উপযুক্ত শিক্ষা প্রদানেরলক্ষ্যে সেই সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিখনের উপযোগীকরে তোলা। আর বর্তমানে এই ডিএড প্রশিক্ষণের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে দুই বছর। অনুরূপভাবে, বিএডও একই ধরনের বা রকমের শিখন প্রশিক্ষণ, তবে এটা পঞ্চম থেকে দশম কিংবা দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের শিখনের উপযুক্ত করে তোলার প্রশিক্ষণ। তাহলেই ভাবুনতো - যদি ডিএড এর সময় দুই বছরের হয় তবে বিএড এর সময় কত বছরের হওয়া উচিত? যাঁরা দুই বছরে ডিএড করে প্রথম থেকে চতুর্থ শিখন এর উপযোগী হয়েছেন তাঁরা কি অতিবিক্ত মাত্র ছয় মাসেই পঞ্চম থেকে দশম বা দ্বাদশ শিখন এর উপযোগী হয়ে উঠতে পারবেন! ? ডিএড যদি দুই বছরের কোর্স হয় তবে বিএড তো তাহলে অন্তত তিন বছরের কোর্স হওয়া উচিত! বিএড এর যে বড় সিলেবাস তাতে করে সত্যিকারের প্রশিক্ষণের জন্যই প্রশিক্ষণ হলে সময় তিন বছর হওয়াই বাঞ্ছনীয়, নইলেকেবল সার্টিফিকেটের জন্যই হচ্ছে বিএড প্রশিক্ষণ। 
 — হামিম হোসেন মণ্ডল (বুলবুল), ঝাউবনা, নওদা, মুর্শিদাবাদ।

No comments:

Post a Comment